Thursday, July 28, 2011

স্বঘোষিত সামরিক উপদেষ্টা সাংসদ ভিপি জয়নাল আবেদীন ফারুক


ফেনী নোয়াখালীর সশস্ত্র সন্ত্রাস বাহিনীর প্রধান খালেদা তারেক ও বাবরের প্রধান স্বঘোষিত সামরিক উপদেষ্টা সাংসদ ভিপি জয়নাল আবেদীন ফারুক কাল সেচ্ছায় রক্তদান অভিযানে যোগ দিয়ে প্রমান করলেন যে তিনি দেশকে কতোটা ভালোবাসেন তার আগে আমাদের হিসেব নেয়া উচিত তিনি আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের দেহ থেকে ২০০১-২০০৬ কতো হাজার গ্যালন রক্ত নিয়েছিলেন?  
ফেনী নোয়াখালীর এই দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী এবং নোয়াখালী আওয়ামী লীগ/যুব লীগ ধংশের মুল নায়ক বাবর তারেক সাকা ও খালেদা জিয়ার প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী ভি পি জয়নাল নামেই খ্যাত। জনতার ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবার প্রয়োজন পড়েনা। তার পূর্বেই ভিপি জয়নালের ধানের শীষের বক্স বোঝাই হয়ে যায়। যার অধীনে পরিচালিত হতো বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলীয় সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী। অস্ত্র আসতো সাকা চৌধুরী ও গিয়াস কাদের চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের খাদ্য সরবরাহকারী ঠিকাদারের ট্রাকে ।
আওয়ামী লীগের অন্যতম ত্যাগী নেতা জয়নাল হাজারী সারা জীবনের রাজনীতির মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিয়েছে এই  নরঘাতক জাত সন্ত্রাসী ভি পি ফারুক। হাজার হাজার আওয়ামী, যুব ও ছাত্র লীগের নেতা কর্মী ভক্তদের হত্যা করে নিজের আধিপত্য বিস্তার করেছিলো এই ভি পি জয়নালজয়নালের মতো একজন দুর্ধর্ষ খুনী সন্ত্রাসিকে জাতীয় সংসদে ঢুকার ছাড়পত্র দেয়াটাই জাতির জন্য বড় লজ্জা ও ন্যাক্কারজনক। ।
আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা জয়নাল হাজারীর নামে এই ফারুক সেনাবাহিনীর অফিসারদের বড় অংকের টাকা দিয়ে যতো সব মিত্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ এবং সাজানো অস্ত্র ও সেনাবাহিনীর ড্রেস হাজারী বাড়ীতে আগে থেকেই লুকিয়ে রেখে মিডিয়ার ক্যামেরা সাংবাদিক নিয়ে লোক দেখানো নাটক মঞ্চস্থ জাতির উদ্দেশ্যে প্রচার করা হলো সব পত্র পত্রিকায় বড় বড় অক্ষরে প্রধান শিরোনাম ছিলো " জয়নাল হাজারীর বাড়ীতে যৌথ বাহিনী কর্তৃক সেনা বাহিনীর ড্রেস, টুপি ও অস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার” বাঙ্গালী জাতি বিশ্বাস করে নিলেন এবং হাজারীকে নরকের কীট বানিয়ে ছাড়লেন। দুঃখজনক হলেও আসল সত্য ঘটনা দেশবাসী আওয়ামী লীগে ক্ষমতায় আসার তিন বছরের মাথায়ও জানতেই পারলো না।
“তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যৌথ বাহিনীর অভিযান চালানো হয়েছিল জয়নাল হাজারীর বাড়ীতে।  অভিযানের ভারপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর মেজর, কর্নেল সবাই ছিলেন সাকা চৌধুরী, মেজর কামরুল ইসলাম, ব্যবসায়ী আবুল খায়ের লিটু ও ভিপি জয়নাল আবেদীন ফারুকের আত্বীয় স্বজন  গভীর রাতে গোপন যোগাযোগের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর সাথে যোগসাজশে বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে জাতির কাছে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে জঘন্য যতো সব বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করে জয়নাল হাজারীকে একটি জাতীয় কুলাঙ্গার হিসেবে রাজনৈতিক জীবন থেকে ময়লা আবর্জনার ডাষ্টবিনে নিক্ষেপ করেছিলো। যে কারনে এখন জয়নাল হাজরি কঠিন সত্য কথা বলতে গেলেও কেউ আর আগের মতো গুরুত্ব দিয়ে শুন্তে চায়না।  
দেশের কোটি জনতার কাছে জয়নাল হাজারী পরিচিত হল একজন টেরোরিষ্ট হিসেবে। এ কথা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাবার পরেও জনতার উদ্দেশ্যে সঠিক তথ্য তুলে ধরা হয়নিশুধু বিষয়টি লন্ডনস্থ আব্দুল গাফফার চৌধুরী সাহেব জানতেন। “আওয়ামী লীগের ঢীলে ঢালা মান্দাতার আমলের তাল পাতায় লেখা অ ও আ’র অক্ষরের সাথে হাত ঘুড়ানো” ধাঁচের প্রচার ব্যবস্থার কারনে দেশের মানুষ অনেক বাস্তব সত্য ঘটনাদি জানতে পারে না। কোন রাজনৈতিক দলের প্রচার ব্যবস্থা দুর্বল হলে তারা জনগণের কাছ থেকে অনেক দূরে চলে যায়। আওয়ামী লীগ এর প্রচার ব্যবস্থায় সচ্ছতা ও গতি না থাকার কারনে বি এন পি’র যে কোনো ক্ষুদ্রতম ঘটনাবলী সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যায় অতি তাড়াতাড়ি। যেমন জামাত বিএনপি’র অনেক গুলো এফএমব্যান্ড রেডিও, টিভি চ্যানেল, দৈনিক/সাপ্তাহিক ইংরেজী ও বাংলা পত্রিকা/ ম্যাগাজিন ট্যাবলয়েড যেটি আওয়ামী লীগের নেই। এ বিষয়ে মাননীয় প্রধান্মন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টাগণ কি ভাবেন সেটি জানতে পারলে নিজেকে কৃতার্থবোধ করে ধন্য হতাম। 

No comments:

Post a Comment